সরিষাবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
খিচুড়ি রান্নাকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ৮-১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের মহাদান গ্রামের বটতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন মাস্টার এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আওয়ালের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। আজ সকালে তালতলা দহপাড় বটতলা এলাকায় খিচুড়ি রান্নাকে কেন্দ্র করে লিটন মাস্টারের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালান। পরে দুপুরে আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্বে ইসহাক মেম্বার, বাবু মিয়া, সুমন ও লিটনসহ কয়েকজন বিএনপি কর্মী-সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন মাস্টার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আওয়াল চেয়ারম্যান হচ্ছে দ্বিতীয় শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর মহাদান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে তার লোকজন। বিষয়টি প্রথম থেকেই বাধা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আজ সামান্য বিষয় নিয়ে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমার ছেলেকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।’অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন ও তার সমর্থকরা খিচুড়ির আয়োজন পণ্ড করে দেয়। এসময় বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তার লোকজন।’সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, দুপুরে বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। খবর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত দিন