অন্যান্য

নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য নারীর সতর ঢেকে নামাজ আদায় করা জরুরি ?

নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এর হিসাব নেয়া হবে। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, সময়মতো নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ।অনেকে জানতে চান, নারীর কান খোলা থাকলে নামাজ হবে?
 
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নারী ও পুরুষের শরীরের যেসব অঙ্গ লজ্জার কারণে ঢেকে রাখা হয় তাকে সতর বলা হয়। নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য সতর ঢেকে নামাজ আদায় করা জরুরি। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই নামাজে সতর ঢেকে রাখা ফরজ। হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলারা ওড়না ছাড়া নামাজ আদায় করলে তা আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৬৪১)

নারীদের সতর হলো- মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার ওপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর। অর্থাৎ, এর বাইরের অংশ ঢেকে রাখতেই হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/৩২)
 
নামাজের সময় নারীদের চেহারা, কবজি পর্যন্ত দুই হাত ও টাখনু পর্যন্ত পা ছাড়া পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। কানও সতরের অন্তর্ভুক্ত এবং ঢেকে রাখা ফরজ।
 
নামাজে যে অঙ্গগুলো ঢাকা ফরজ সে অঙ্গগুলোর কোনোটির চার ভাগের এক ভাগ বা এর বেশি যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অর্থাৎ তিনবার ‘সুবহানা রব্বিয়াল আযীম’ বলা পরিমাণ সময় প্রকাশিত থাকে, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। তাই নামাজের মধ্যে যে কোনো কানের চার ভাগের একভাগ তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

নামাজে নারীদের চুল ঢেকে রাখা জরুরি। সব চুল মিলে এক অঙ্গ গণ্য হয়। নামাজের সময় মাথার সব চুলের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ বা তার বেশি যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বের হয়ে থাকে, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক চতুর্থাংশের কম পরিমাণ চুল বের হয়ে থাকলে নামাজ নষ্ট হবে না। তবে পুরো মাথা এবং সব চুলই যেহেতু ঢেকে রাখা ফরজ, তাই পুরো মাথা পূর্ণ সতর্কতার সাথে ঢেকে রাখা উচিত যেন চুলের কোনো অংশ অনাবৃত না থাকে।

মতামত দিন