দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে
সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রশাসনের কারও কারও অসহযোগিতার কারণে দেশে স্থবিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ অসহযোগিতা করলে প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসানো হবে।
শনিবার সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।তিনি বলেন, প্রশাসনের লোকজন এমন কিছু নিয়মনীতি করেছেন, যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। কিন্তু আমরা ওসব নিয়মনীতি তোয়াক্কা করব না। নিয়ম মেনে অভ্যুত্থান হয়নি। সবাই সহযোগিতা না করলে, সরকার পরিচালনাও নিয়ম মেনে হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সিন্ডিকেটের উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করতে হবে। যত বড় ক্ষমতাধর হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাজার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে সিন্ডিকেট সরিয়ে একটি স্থায়ী সমাধানে আসতে হবে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। টাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার কে, কয়টা অভিযান চালিয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। বাণিজ্য সচিব তিন দিনের প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে মাত্র এক দিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি। সভায় প্রাণিসম্পদসহ কয়েকটি দপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসিফ মাহমুদ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহম্মদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ, সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, মোহাম্মদ রাসেল, জুবাইদুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পরে তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। স্টেডিয়াম ও মাঠের বেহাল অবস্থা দেখে হতাশা প্রকাশ করে আসিফ মাহমুদ সমস্যা চিহ্নিত করে বিপিএল শুরুর আগেই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের স্টেডিয়াম সংস্কার করা হবে বলে জানান।
এ ছাড়া বিকেলে নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ব্যবসায়ী সমাজ গড়ে তোলা ও দ্রুত চট্টগ্রাম চেম্বারে নির্বাচন দিয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
মতামত দিন