আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় যেতে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার ধীরে ধীরে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। এরপরপরই শুরু হয় ফলাফল ঘোষণা। সেই ফলাফল শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।এ পর্যন্ত মার্কিন গণমাধ্যমের ঘোষণা অনুসারে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন আলাবামা, আরকানসাস, ফ্লোরিডা, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসি এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে।

অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন মেরিল্যান্ড, মেসাচুসেটস, ভারমন্ট এবং রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে।দুই প্রার্থীই এবার তাদের সমর্থকদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে ছিলেন ভীষণভাবে মরিয়া। নিজেদের জয়কে নিশ্চিত করতে দুজনই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতি এবার আলাদাভাবে নজর দিয়েছেন। তাই চূড়ান্ত ফলাফলে এবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 

নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিভিন্ন ঘটনায় ভীষণভাবে আলোড়িত হয় দুই দলের শিবির। প্রার্থীতার মঞ্চ থেকে জো বাইডেনের প্রস্থান এবং কমলা হ্যারিসের আবির্ভাব থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর আততায়ীর হামলা এবং তাকে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা—এরকম টানটান উত্তেজনায় টালমাটাল ছিল পুরো যুক্তরাষ্ট্র।মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১১টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয় ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নিউইয়র্কে। এসব এলাকায় এক কোটিরও বেশি ভোটার আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

কখন মিলবে ফল

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এসব তথ্যের পাশাপাশি বলছে, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনের দিন রাতেই বা পরদিন ভোরে। কিন্তু এবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে বেশ কিছু রাজ্যের ফলাফল পেতে যতটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে তার চাইতেও বেশি সময় লাগতে পারে।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেতে উঠেছেন, গত কয়েক সপ্তাহের জরিপ সেকথাই বলছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে কোথাও কোথাও পুনরায় গণনার বিষয়টিও এসে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়ায় ভোট গণনায় যদি আধা শতাংশের কম ব্যবধান হয়, তবে পুনরায় গণনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে। ২০২০ সালে নির্বাচনে এই রাজ্যটিতে বিজয়ী ও হেরে যাওয়া প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল এক দশমিক এক শতাংশ।এ ছাড়া পূর্বের ইতিহাস বলছে, আইনি লড়াইয়ের বিষয়টি থেকে যায়। ইতোমধ্যে রিপাবলিকান দলের পক্ষে ১০০টিরও বেশি নির্বাচনি অভিযোগ দায়ের করে রাখা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার মতো বিষয় রয়েছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অঘটন ঘটলেও ফলাফল প্রকাশে দেরি হতে পারে। এ ছাড়া ভোট গণনার কাজেও সময় লাগতে পারে।

২০২০ সালের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেলগুলো জো বাইডেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করতে সময় নিয়েছিল চার দিন। সে সময় পেনসিলভানিয়ার ফলাফল পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেছিল সবাই।

মতামত দিন