রাজনীতি

’২৪- এর স্বাধীনতা যেন কেউ হাইজ্যাক করে না নিতে পারে

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘শাহবাগীদের’ দাবিতে যাদের হত্যা করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে- তাদেরও আবার বিচারে ফিরিয়ে আনা হবে, ইনশাআল্লাহ। আর যেসব ‘শাহবাগী’ সেদিন বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা সরকার গঠন করেছিলো, জনগণ তাদেরও বিচার চায়।সোমবার সকালে, রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই সমাবেশ ও বিজয় র‍্যালি আয়োজন করে।

বিজয় র‌্যালির আগে দেয়া বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, আজ থেকে কয়েক বছর আগে (২৮ অক্টোবর ২০০৬ সাল) আজকের দিনেই আল্লাহর কিছু বান্দাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। এই বাংলাদেশের পথ খুঁজে পেতে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।আমাদের বন্ধুদের কী অপরাধ ছিল, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাদের কোনও অপরাধের কথা আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারলো না। যারা মেরেছে, এরা মানুষ নয়, এরা পশু। আল্লাহতায়ালার ভাষায়, এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এই মজদুর পরিবারগুলো সেদিন আদালতে গিয়ে বিচার চেয়েছিল, মামলাও হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার গরমে সে মামলা খেয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা কথা দিচ্ছি, এই বিচার আবার ফিরিয়ে আনা হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাক্ষী, আমরা প্রিয় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কোনও আগ্রাসীদের কাছে কোনও হেজিমোনিস্টদের কাছে বিক্রি করবো না, করতেও দেবো না। যারা বিক্রি করেছিল আজকে তারা পালিয়ে গিয়ে ওখানেই আশ্রয় নিয়েছে। তারা এই দেশকে নিজের দেশ মনে করতো না। কারণ এই দেশে তাদের বাচ্চা-কাচ্চা বসবাস করতো না। তাদের বাচ্চাদেরকে নীরবে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিয়ে- তারা এদেশে সন্ত্রাস করে ত্রাসের মাধ্যমে এই দেশকে শোষণ করেছিল।

জামায়াত আমির বলেন, আগামীতে এদেশে কেউ তাঁবেদারি তৈরি করতে এলে ছাড় দেওয়া হবে না। বারবার বুকে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা আনা জাতির সন্তানরা তাদের স্বাধীনতা আর ছিনতাই হতে দেবে না। শেখ পরিবারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একটি পরিবার স্বাধীনতার ক্রেডিট হাইজ্যাক করে বাংলার আপামর জনতাকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করেছিল।

শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে কিন্তু শোষণ থেকে মুক্তি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ’২৪- এর স্বাধীনতা যেন কেউ হাইজ্যাক করে না নিতে পারে এজন্য বাংলার ১৮ কোটি মানুষকে পাহারা দিতে হবে।তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে কিছু আবর্জনা এবং কিছু জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, সেসবকে পরিষ্কার করতে হবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

ভোটার তালিকা শুদ্ধ ও সুষ্ঠু করতে হবে। প্রবাসীদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। একজন নাগরিকও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ুক, তা আমরা চাই না। এর জন্য যা করা দরকার সরকারকে তাই করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও সে উদ্যোগ নিতে হবে। যারা ভুয়া ভোটার আছে, তাদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

মতামত দিন