রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বলছেন সে সংস্কার যদি আসলে করা হয়, সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তা যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করতে হবে। যাতে একটি প্রকৃত সংস্কারের মধ্য দিয়ে প্রকৃত বহুদলীয় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের যে পথ চলা সেটাকে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আর এ কাজ করতে আমার মনে হয় বেশি সময় লাগবে না।

রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই কাজগুলো (সংস্কার) করলে এটা একটি বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে। পরবর্তী সময়ে আলো দেখাবে। পরবর্তীতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।

দেশের বিরুদ্ধে এখন নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, পরাজিত শক্তি এই মুহূর্তে দেশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা এখন চুপচাপ বসে থাকলেও ভেতরে ভেতরে কাজ করছে, নানা ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তাদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে। সেই কালো টাকা তারা ব্যবহার করছে। কালো টাকা ব্যবহার করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা এবং রাজনৈতিক- মন্তব্য করে দলের এ শীর্ষ নেতা বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পূরণের জন্য তার (তারেক রহমানের) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার একক কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশে যাতে কোনো টুঁ শব্দ না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে।

রিজভী বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা করছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর খুব গভীরে স্টাডি করার জন্য। শুধু হেডলাইন স্টাডি করলেই বোঝা যাবে এগুলোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার ক্রোধ তার আক্রোশ পূরণ করার জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো বেশি দেরি করবেন না, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করুন।