ইরানের ওপর ইইউ'র নিষেধাজ্ঞা
এবার ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় বিমান সংস্থার নামও রয়েছে বলে জানা গেছে।গতকাল ইউরোপীয় কাউন্সিল জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের কারণে ইরানের সাতজন ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে এবং তারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৈয়দ হামজা ঘালানদারি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের উচ্চপদস্থ সদস্য এবং ইরানের তিনটি বিমান সংস্থা যার মধ্যে ইরান এয়ারও রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লায়েন এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধে ইরান সরকারের সমর্থন অগ্রহণযোগ্য এবং এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। তাই আমি ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে স্বাগত জানাই।’ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহাও এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যারা আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়, তাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে এবং মূল্য দিতে হবে।’
ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই আজ মঙ্গলবার বলেন, ‘ইরান রাশিয়ায় কোনও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি। এসব নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।’এর আগে গতকাল সোমবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য।এ ছাড়া গত শুক্রবার ইরানের তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় (ইউএস ট্রেজারি) ও পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) জানায়, যেসব কোম্পানি এবং বাহন ইরানের তেল ব্যবসায় ও পরিবহণের সঙ্গে জড়িত সেগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
মতামত দিন