পেট্রাপোল স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে সাময়িকভাবে পেট্রাপোল স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এতেও কাজ না হলে আগামী বছর থেকে স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন বাংলাদেশিরা কীভাবে আলু, পেঁয়াজ খায় সেটা দেখিয়ে দিবো।
সোমবার যশোরের বেনাপোল বন্দরের ওপারে পশ্চিমঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার বৃহত্তম আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর পেট্রাপোলে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এসব হুঁশিয়ারি দেন তিনি।শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের মত নেতারা।
এদিন দুপুরে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের আগে একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুসহ অন্য নেতারা। সেখানে বক্তব্য রাখার পর প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি যান। এ সময় মিছিলে উপস্থিত সনাতনী ধর্মের লোকজন সে দেশের মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। পরে হলুদ রঙের বেলুন আকাশে ছেড়ে শান্তির বার্তা দেন। যেকোনো অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সীমান্তে ছিল কড়া নিরাপত্তা। শুভেন্দু বলেন, ইউনূস তুমি হুশিয়ার, একদিনে কেবলমাত্র কলকাতায় যে আবর্জনা বের হয়, ওটা একবার ফেলে দিয়ে এলেই আপনি ঢাকা পড়ে যাবেন। আপনি পাঙ্গা নিতে আসবেন না। একাত্তরের রাজাকারদের যেমন আত্মসমর্পণ করিয়েছিল, ইউনূসের রাজাকারদের, যারা ভারতের পতাকা মাড়িয়ে গেছে তাদেরও ঠিক সেভাবেই ভারত আত্মসমর্পণ করাবে। কারণ, ভারত একটা দেশ নয়, পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্র।
এদিকে সীমান্ত বন্ধের আশঙ্কায় সোমবার সকাল থেকে অনেককেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে দেখা যায়। তাদের আশঙ্কা সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীতে যদি দেশে ফিরতে না পারেন। অনেকে এমনও বলছেন বাড়ির সদস্যরা অনেক আতঙ্কে আছেন, ফোন পেয়েছেন তাই দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
মতামত দিন