গানে গানে হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ
রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ নূর হোসেন চত্বর পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিওয়ের মুখে প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছিল। এ সময় তারা গানে গানে সাম্প্রতিক হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকে সামাজিক মাধ্যমে প্রোফাইল ছবি লাল করে সহিংসতার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে আজ সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা অনুযায়ী সরকার-সমর্থকদের অনেকে ফেসবুক প্রোফাইলে কালো রঙের ফ্রেম জুড়েছেন। তবে রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা।
গানে গলায় গলা মেলানো, রংতুলির আঁচড় ও কবিকন্ঠে আবৃত্তিতে তারা সহিংস দিনের স্মৃতি ও বিচারের দাবি তুলে ধরছিল। নাট্যকর্মী, শিক্ষক, কন্ঠশিল্পী ও শিল্পের নানা শাখার মানুষ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের কণ্ঠে ছিল বিষন্নতা আর দ্রোহের ছাপ।সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চুপ করে থাকবে এটি চাই না।অপর একজন প্রতিবাদকারী বলেন, এতো মানুষকে হত্যা করা হলো। বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের হত্যা করা হলো। এটি অবিশ্বাস্য। আরেকজন বলেন, ভেতরের অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করতেই এখানে এসেছি।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ২টায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা জড়ো হয়ে নূর হোসেন চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বাহাদুর শাহ্ অভিমুখে রওনা হয়। কিন্তু পুলিশী বাঁধায় এগুতে পারেনি এই প্রতিবাদী গানের মিছিল। পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যেই প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলে এই আয়োজন। পরে আগামী শুক্রবার (২ আগস্ট) প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শোকমিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেন তারা।
সোমবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রোফাইলের ছবি লাল রঙের করেন। অনেকে আবার মুখে ও চোখে লাল কাপড় বাঁধা ছবিও নিজের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিয়েছেন। এসব ব্যক্তির মধ্যে শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন।
মতামত দিন