আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি চার নারীর বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি

গাজায় হামাসের হাতে থাকা চার ইসরায়েলি নারী সেনা সদস্যকে আজ মুক্তি দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে দুশো ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় চার জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস। ২০২৩ সালের সাতই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা করার পর যাদের জিম্মি করে নিয়ে এসেছিলো তাদের মধ্যে এই চারজনও ছিলো।তবে বেসামরিক জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে মুক্তি না দেয়ায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল।এর জবাবে ইসরায়েল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরতে এখনো অনুমতি না দেয়ার কথা জানিয়েছে।হামাস বলছে, ফিলিস্তিনিদের উত্তরাঞ্চলে ফিরতে না দিতে গুরুত্বপূর্ণ করিডোর বন্ধ রাখার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল নিজেই তার পায়ের নীচে মাটি খুঁড়ছে।তাদের দাবি সমঝোতা বাস্তবায়নে বাধার জন্য ইসরায়েলই দায়ী থাকবে।

রেডক্রস যা জানিয়েছে
রেডক্রস দ্বিতীয় দফার জিম্মি মুক্তি কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।এক বিবৃতিতে আইসিআরসি এ বিষয়ে তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরের পর তারা ইসরায়েলে আটক থাকা ১২৮ জন বন্দিকে গাজা ও পশ্চিম তীরে নেয়ায় সহায়তা করেছে।সংস্থাটি আজ দুশোর ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে। একই সাথে তারা গাজায় আরও বেশি ত্রাণের বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছে।এদিকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে উল্লাস করেছে ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস দুশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর তাদের অর্ধেক ইতোমধ্যেই পশ্চিম তীরে পৌঁছেছেন।সত্তর জনকে মিশর হয়ে প্রতিবেশী কাতার ও তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। আর একটি অংশকে পাঠানো হবে গাজায়।এ সপ্তাহে এমন ১২১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো।

গাজায় আর কত ইসরায়েলি জিম্মি আছে
হামাসের কাছ থেকে আজ যে চার জন মুক্তি পেলেন তারা হলেন- কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা জিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ।যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর ছয় দিন আগে আর তিন জন মুক্তি পেয়েছিলেন।সবমিলিয়ে সাত জন জিম্মি ইসরায়েলে ফিরলেন।আরও ৮৭ জন গাজায় জিম্মি হয়ে আছেন, যাদের ২০২৩ সালের সাতই অক্টোবর হামাস জিম্মি করে নিয়ে গিয়েছিলো।এর মধ্যে ৫৩ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ ৩৪ জন মারা গেছেন বলে মনে করা হয়। তাদের মরদেহ অবশ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুসারে প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জিম্মির মুক্তি পাওয়ার কথা। এর অর্থ হলো আরও ২৬ জিম্মিও মুক্তি পাবেন। আর সাত জন এর মধ্যেই মুক্তি পেয়েছে।দ্বিতীয় দফায় বাকী জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রম শুরু হলে জানা যাবে যে সত্যিকার অর্থে জিম্মি কতজন বেঁচে আছে।

মতামত দিন