জাতীয়

আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি শক্তিশালী

বর্তমান তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অমর একুশ-২০২৫ এর পদক বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবীর সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি বলেন, নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে তরুণরা নেতৃত্ব দিতে চায়, নেতৃত্ব দিতে তারা প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। সেই সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমন করে গড়ে তোলা যাতে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোরকম বিকৃত না হয় এবং পৃথিবীর ওপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনোক্রমেই বিঘ্নিত না হয়।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের একুশে নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের আত্মপরিচয়ের অবিনাশী স্মারক। আমাদের স্বাধীনতার চেতনার প্রাণপ্রবাহক একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রসমাজ। যারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। এ বিজয়ের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ এসেছে। আজ এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দেশমাতৃকার অভিন্ন লড়াইয়ের সংগ্রাম ৫২’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যেসব সাহসী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের সকলকে।

মতামত দিন