আন্তর্জাতিক

দিল্লি-টোকিও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত

চীনকে টেক্কা দিতে এবার নিজেদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে রাজি হয়েছে ভারত ও জাপান। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ‘টু প্লাস টু' বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা জানায় জাপান। আর প্রযুক্তি, গবেষণা, শিল্প সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করে ভারত। খবর রয়টার্সের।
২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো আলোচনার টেবিলে বসেছে ভারত ও জাপান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করতে ‘টু প্লাস টু' বৈঠকে বসে দুই দেশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা নিজেদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারে রাজি হন। এছাড়া জাপান থেকে ভারতে যুদ্ধজাহাজ যোগাযোগ অ্যান্টিনারি প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। 
এ বিষয়ে জাপান জানায়, টোকিও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। যেখানে বেইজিং ক্রমাগত নিজেদের প্রভাব জোরদার করে চলেছে। এছাড়া দুই দেশের যৌথ মহড়া চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।
 জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া বলেন, 
২০০৮ সালে ভারত ও জাপানের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে যৌথ ঘোষণা সংশোধন করতে আমরা সম্মত হয়েছি। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশ দুটির সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে আমরা একযোগে কাজ করবো।

এদিকে, চলতি বছর দিল্লি-টোকিও কৌশলগত অংশীদারীত্বের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত ভারতও।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, 
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষা দুই দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা নিজ নিজ নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে কাজের সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনা প্রভাব রুখতে ক্রমেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে টোকিও ও দিল্লি। অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কোয়াড সিকিউরিটি গ্রুপিংয়েও।

মতামত দিন