অন্যান্য

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য

‘ঈদ’ শব্দটি আরবি। এর আভিধানিক অর্থ খুশি হওয়া, ফিরে আসা এবং আনন্দ উদযাপন করা ইত্যাদি। আর ‘মিলাদ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ জন্মতারিখ, জন্মদিন, জন্মকাল ইত্যাদি। তাই ‘মিলাদুন্নবী’ (সা.) বলতে মূলত রাসুল (সা.) আগমনকে বোঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ বলতে রাসুলের (সা.) আগমন উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন করাকে বোঝায়।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য

রাহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময়ে প্রিয় নবী (সা.) এই পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন। তার এই আগমনে সবাই আনন্দিত হয়েছিল। কেননা তার আগমনে সমাজ থেকে দূর হয়েছিল সব কুসংস্কার।

হজরত ইরবাদ ইবনে সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তখন থেকে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবীকুলের সর্বশেষ নবী, যখন আদম (আ.) মাটির সঙ্গে মিশ্রিত ছিলেন। আমি তোমাদের আরও জানাচ্ছি যে, আমি হাবিব আমার পিতা নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল এবং নবী হজরত ঈসা (আ.)-এর সুসংবাদ, আর আমার মাতা (আমিনার) স্বপ্ন। নবীদের মাতাগণ এভাবেই স্বপ্ন দেখতেন। রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাতা তাকে প্রসবের সময় এমন এক নূর প্রকাশ পেতে দেখলেন যার আলোয় সিরিয়ার প্রাসাদগুলো দেখা যাচ্ছিল। (ইবনু হিব্বান আস সহিহ-৬৪০৪, আল মুসতাদরাক-৩৫৬৬, তাবারানি)।

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে রসুল! আপনি বলুন, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার দয়াপ্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর। এটি উত্তম সে সমুদয় থেকে যা তারা সঞ্চয় করেছে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫৮)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর মতে, এখানে ফজল ও রহমত দ্বারা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভাগমন উদ্দেশ্য। রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি সোমবার রোজা পালনের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী পালন করতেন।

হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সোমবার দিন রোজা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি উত্তরে বললেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (মুসলিম -১১৬২)

মতামত দিন