অন্যান্য

সুস্থ থাকতে নিয়মিত ফল না ফলের জুস কোনটি স্বাস্থ্যকর

আমাদের চারপাশে থাকা প্রতিটি ফলই পুষ্টির ভাণ্ডার। এসব ফলে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবারের মতো উপকারি সব উপাদান। শরীরের জন্য এই উপাদানগুলো বেশ উপকারি। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 

ফল নিয়ে একাধিক ভুল ধারণা রয়েছে। কেউ মনে করে, গোটা ফল খাওয়া উচিত। কেউবা আবার ভাবেন, গোটা ফলের তুলনায় ফলের রস খেলে বেশি উপকার মেলে। আসল সত্য কোনটি? চলুন জানা যাক পুষ্টিবিদরা কী বলেন- 

ফল খেতে হবে প্রতিদিন-
পুষ্টিবিদদের মতে, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার থেকে দূরত্বে থাকা চলবে না। এতে দেহে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি হতে পারে। তাই সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। অনেকে দামের কথা ভেবে ফল খান না। 

জানলে অবাক হবেন, বিদেশি দামি ফলের চাইতে দেশি মৌসুমি ফলগুলোর পুষ্টিগুণ কোনো অংশে কম নয়। আমড়া, কলা, পেঁয়াজ, পেঁপে, জাম্বুরার মতো ফলগুলো খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। দামে কিছুটা কম হলেও এই ফলগুলো উপকারে ঠাঁসা। 

গোটা ফল না ফ্রুট জুস, কোনটি স্বাস্থ্যকর বেশি? 
এই প্রশ্নের উত্তর হলো গোটা ফলের সঙ্গে ফলের জুসের কোনো তুলনাই চলে না। সুস্বাস্থ্যের জন্য গোটা ফলই বেশি উপকারি। ফল না খেলে ফলের জুস খেলে পুষ্টিগুণ তো মিলবেই না বরং দেখা দিতে পারে একাধিক ছোট-বড় সমস্যা। 

কেন খাবেন গোটা ফল?

মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন জুসের চেয়ে ফল খেলে বেশি উপকার মিলবে। এর কিছু কারণ রয়েছে- 

১। গোটা ফল খেলে দেহে সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবারের দৈনিক চাহিদা পূরণ হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘদিনের পেট ব্যথা থেকে সহজেই মুক্তি দেয়। অন্যদিকে, ফলের রসে ফাইবারের অংশ থাকে না বললেই চলে। 
২। গোটা ফলে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফলের রস খেলে এমন উপকার মেলে না। 

৩. গোটা ফলের তুলনায় ফলের রসের ক্যালোরি ভ্যালু অনেকটাই বেশি। তাই অহেতুক ফলের রস খাবেন না। অনেকসময় জুস সুস্বাদু করতে এর সঙ্গে চিনি বা অন্যান্য দ্রব্য মেশানো হয়। ফলে কমে যায় পুষ্টিমান। 
সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দেশি ফল রাখুন। এতে পুষ্টিও মিলবে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

মতামত দিন