জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে উপজেলার বালিজুড়ী বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মাদারগঞ্জ উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজনে করে।পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবলুল গাজী বেলালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু।

এ সময় তার বক্তব্যে শহীদ নূর হোসেন ১৯৮৭ সালে তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের নায়ক উল্লেখ করে তিনি বলেন নূর হোসেন হলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। সেই সাথে চলতি বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের আহত ও নিহত শহীদের স্বরণ করেন। 

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সহযোগী মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের  সংসদ সদস্য  মির্জা আজমের কথা  উল্লেখ করে তিনি বলেন, টানা ৩৫ বছরে সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারি, জমি দখল, দলীয় মনোনয়ন, দলীয় পদপদবি পাওয়া না–পাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন।পুরো জামালপুরে তাঁর কথার  বাইরে যাওয়ার সাহস ছিল না অন্য কোনো সংসদ সদস্য (এমপি), দলীয় নেতা-কর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ । তিনি বলেন, ১৮ সালের নির্বাচনে মির্জা আজমের নির্দেশে আমাকে সাডে ৩ মাস  কারাবাস কারতে হয়। আমার মায়ের দাফন-কাফনে শরিক হতে পারি নাই।

বক্তব্য শেষে  বিগত আওয়মী সৈরাচার শাসনের কথা উল্লেখ করে সকল নেতাকর্মীদের দখলবাজী, চাদাবাজী থেকে বিরত  থাকার হুশািয়ারি দেন। আগামীর দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্ব দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা  করে বক্তব্য শেষ করেন।

এছাডাও  বক্তব্য রাখেন- পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মাসুদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহীন সবুজ, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান অপু, শফিকুল ইসলাম সিজার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান টুটুল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফায়েজুল বারী পলাশ। এসময় উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।