মাদারগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেন-
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ।জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলায় ২০২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে বিতরণযোগ্য ১ম শ্রেণীর শিক্ষক সহায়িকা বই শিক্ষকদের মাঝে বিনামূল্যে প্রদান করার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে উৎকোচ।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান উপজেলার আদারভিটা, সিধুলি, গুনারিতলা ও জোড়খালি ইউনিয়নের ক্লাস্টারের ২০২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে আছেন।তিনি বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য শিক্ষক সহায়িকা ৭টি বই প্রদানের সময় উপজেলার ২০২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে অবৈধভাবে সেট প্রতি ৫০ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই শিক্ষক সহায়িকা ৭টি বই সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) সাইদুর রহমান বলেন আমি কুনো উৎকোচ নেয়নি। আপনি শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল আমিন উৎকোচের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বলেন, বই আনা নেওয়ার জন্য যানবাহন খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয়না। যার জন্য শিক্ষদের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে তবেঁ কত টাকা নেওয়া হচ্ছে এটা আমি জানিনা, সাইদুর সাব ভালো বলতে পারবে। শিক্ষক সহায়িকা বই বিতরণে কুনো ধরনের নগদ অর্থ আদান প্রদানের নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কুনো সৎ উত্তর দিতে পারেন নি।
এবিষয়ে জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন খান জামালপুরবার্তাকে বলেন, সরকারী নির্দেশ ছাড়া শুধু বই কেনো একটি সাদা কাগজও বিতরণের জন্য নগদ অর্থ নেওয়া যাবে না। যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোহাম্মদ শাহিন,মাদারগঞ্জ
মতামত দিন