খেলা-ধুলা

পর্তুগালের ইউরো জেতা বিশ্বকাপ জেতার সমান

বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল বিশ্বের সেরা দুটি প্রতিযোগিতা। তবে নিঃসন্দেহে মহাদেশীয় আসরের চেয়ে বিশ্বকাপ অনেক এগিয়ে। তবে মাঝেমধ্যেই ইউরোপিয়ান কিছু খেলোয়াড় ইউরোকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এবার ক্রিস্তিয়ানোর রোনালদো পর্তুগালের ইউরো জয়কে বিশ্বকাপের সমান বলেই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নেশন্স লিগের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে অনন্য এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন রোনালদো। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে করেছেন ৯০০ গোল। ম্যাচ শেষে রোনালদো বলেছেন, 'পর্তুগালের ইউরো জয় বিশ্বকাপ জয়ের সমান।'
পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। যে সাফল্যের অন্যতম কারিগর রোনালদো। যদিও ফাইনালে চোট পাওয়ায় প্রথমার্ধের মাঝেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে সতীর্থরা ঠিকই শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন তাকে।
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় হলেও পর্তুগালের উত্থান মূলত ২০০০ সালের ইউরো থেকে। লুইস ফিগোর দলটি সেবার গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জিতেই বিশ্বকে চমকে দেয়। সেবার সেমি-ফাইনাল খেলে তারা। ফিগোর দলটি পরের ইউরোতে খেলে ফাইনালও। কিন্তু ফাইনালে অবিশ্বাস্যভাবে গ্রীসের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ হয় ২০১৬ সালে। সেই শিরোপাকে বিশ্বকাপ সমতুল্য বলছেন পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদো, 'পর্তুগালের ইউরো জয় বিশ্বকাপ জয়ের সমান। পর্তুগালের হয়ে আমি ইতিমধ্যে দুইটা ট্রফি (ইউরো ও নেশন্স লিগ) জিতেছি, যা আমি জিততে চেয়েছিলাম। আমি এর দ্বারা অনুপ্রাণিত নই, এটি ভিন্ন...।'
৯০০ গোলের মাইলফলক নিয়ে বলেছেন, 'আমি ফুটবল উপভোগ করে অনুপ্রাণিত হই এবং রেকর্ড স্বাভাবিকভাবেই আসে। আমি রেকর্ড ভাঙি না... তারা শুধু আমাকে শিকার  করে! ৯০০ গোল অন্য যেকোনো মাইলফলকের মতো মনে হয়, কিন্তু শুধুমাত্র আমি জানি এটাকে ৯০০ করতে প্রতিদিন পরিশ্রম করা কতটা কঠিন।''এটি আমার ক্যারিয়ারে অনন্য এটি মাইলফলক, আমি খুবই গর্বিত। আমি সাড়ে ৩৯ বছর বয়সী, সবকিছু ঠিকঠাক করার জন্য আমাকে অনেক মনোযোগী হতে হবে। অনেক ডেডিকেশন লাগে। এই কারণেই, যখন এই রেকর্ডগুলো হয়, আমি বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে যাই,' যোগ করেন রোনালদো।

মতামত দিন