জেলারের ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়ম, জামালপুর কারাগার যেন টর্চার সেল
মোঃ রিয়াজুর রহমান লাভলুঃ
দুর্নীতির দায়ে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার,মোঃ আবু ফাতাহ কে,ডিমোশন দিয়ে পানিশমেন্ট জেলার হিসেবে একটি জেলখানায় পোস্টিং দেয় বাংলাদেশ কারা কর্তৃপক্ষ।পরবর্তীতে,আবু ফাতাহ,কারা কর্তৃপক্ষের,অসাধু এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে,জামালপুর জেলা কারাগারে পোস্টিং নেয়। তার পর থেকেই শুরু করেন অতীতের দুর্নীতিমূলক কার্যক্রম।এ বিষয়ে নাম পরিচয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, মেহেরপুরের জেলার। তিনি আরো বলেন তার প্রতিদিনের খরচের খাত গুলো মধ্যে উক্ত খাত গুলো হচ্ছে,(১) ভারতীয় ফেনসিডিল,যাহার মূল্য বাংলাদেশে বর্তমান আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় মেলে,(২) আমেরিকান ব্যান্ডের দুই প্যাকেট বেনসন জন প্লেয়ার যাহার মূল্য হচ্ছে ছয় শত ষাট টাকা এবং পাশাপাশি চা পান থেকে শুরু করে ইত্যাদি বাবদ পাঁচ থেকে সাত শত টাকা মত।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কারা বিদ্রোহ শুরু হয়। এতে ৮ বন্দী নিহত হয়। এর মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন। এখানেই শেষ নয়,কয়েদিদের নথি পত্রগুলোও পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে,প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এর আগেও জামালপুর জেলা কারাগারে অনেক কয়েদি এবং হাজতি মৃত্যুবরণ করেন।
তাদেরকে হৃদরোগে আক্রান্ত এবং নানান রোগে জড়িত দেখিয়ে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।এদের মধ্যে কেউ কেউ তার টর্চার সেলের শিকার।
এই তথ্য সংগ্রহ করতে কি কি করতে হয় সাংবাদিকের। পরিকল্পিতভাবে এক সংবাদ কর্মী আরেক সংবাদ কর্মীর সাথে হাতাহাতি করে অভিযোগ দায়ের করানো হয় জামালপুর থানায়। পরবর্তীতে উক্ত অভিযোগ ফুলিয়ে ফাপিয়ে রূপান্তর করা হয় চাঁদাবাজি মামলায়। দুর্ভাগ্য জনক বিষয় হচ্ছে অভিযোগ দেওয়ার পরবর্তী সময় এস আই নজরুল মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলেন সংবাদ কর্মীকে জামালপুর সদর থানা ওসি মোহাম্মদ কবির,এস আই নজরুলকে দিয়ে মুঠোফোনে টেলিফোন করান এবং এস আই নজরুল বলেন,আপনার কাজ শেষ করে,আমার বাসার সামনে এসে একটা ফোন দিয়েন এক সাথে থানায় যাবো,আপনাদের সংবাদ কর্মীর বিষয়গুলো নিয়ে ওসি স্যার দশমিনিট কথা বলবেন।
এক পর্যায়ে ওই সংবাদ কর্মী এস আই নজরুলকে তার বাড়ির সামনে থেকে তার বাইকের পিছনে তুলে নিয়ে থানায় যায়।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে সংবাদকর্মী প্রশ্ন করলে সদর থানার ওসি মহব্বত কবির বলেন,জামালপুরের পৌর মেয়র সানু সাহেবের নির্দেশ। এখানে আমার করার কিছুই নেই। আপনি পৌর মেয়রের এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।পরবর্তীতে সদর থানার এস আই নজরুল এই বিষয়ে সংবাদ কর্মীকে বলেন,পৌর মেয়রের র্নিদেশ এবং এস পি স্যারের কথায় সংবাদ কর্মীকে চাঁদাবাজী মামলা দিতে আমি বাধ্য হয়েছি,এই জন্য সংবাদকর্মীকে বলেন,I am Very really sorry brother. তিনি আরো বলেন,আমার বাড়ি যদিও শেরপুর জেলায় আমিতো জামালপুরের বানিয়া বাজার এলাকায় বাড়ি করে থাকি, রাত পোহালেই আপনাদের সাথে আমার মুখ দেখা দেখি হবে.. সত্যি আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ভাই। একেই বলে পুলিশ।
একজন সংবাদকর্মী দেশের জন্য ভালো কিছু করতে গেলো আর পুলিশ তাকে দেশবিরোধী মামলা দিলো সংবাদকর্মী কিন্তু জেলখানা থেকে তথ্য নিয়ে আসতে একটুও ভুল করেনি এই নিউজ টা,না,করতে পারার কারণ হচ্ছে, সংবাদ কর্মীকে কিছু প্রভাবশালী নেতা ও ব্যক্তিরা চাপের মুখে ফেলে দেয়,তখন ক্ষমতায় ছিলেন আওয়ামী লীগ গর্ভমেন্ট তখন কি পরিস্থিতি ছিলো আপনারা নিজেরাও ভালো করে জানেন। কারো কোনো বাক স্বাধীনতা ছিলো না।
কারাগারে ভিতর থেকে সাংবাদিক কি তথ্য নিয়ে আসলো,এই প্রসঙ্গে চলে যাই।
প্রথমে খাবার- প্রথমেই খাবারের বিষয়টি গুলো জানা যাক,কারাগারে ভিতরে সপ্তাহে খাবারের তালিকায় মাছ মাংস ডাউল সবজ্বি এবং একেক দিন একেক প্রকারের মাছ দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে নিরীহ আসামীদের ভাগ্যে জোটে ভাত,সবজি,ডাউল সিলভারকাপ মাছ ও আদা কেজি ডাউলের মধ্যে পানিই দেওয়া হয় ৫০কেজিরও বেশি, জেল খানায় যে খাবার দেওয়া হয় নিরীহ আসামিদেরকে সেই খাবার যদি ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। ডাক্তার বলবে এই খাবার গরুকে দেওয়া যাবে কোনো মাুনষের জন্য নয়। সরকারি ভাবে ১০০% দেওয়া হলেও আসামিরা পাই ২৫% আর ৭৫% খাবার বাইরে বিক্রি করার পর চলে যায় জেলারের পকেটে। এই কুখ্যাত জেলারের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও একজন বয়স্ক ব্যক্তি এসে সংবাদকর্মীকে বলে,বাবা বাঁচবো আর কয়দিন,আমি একজন লাইভ সাজার আসামি,,মরার আগে একটা সত্যি কথা বলে যাই,আমার নামটা যেনো জেলার সাহেব না জানে,ছদ্ম নাম,(বারেক) তার বয়স হচ্ছে (৬২) বছর,তিনি আরো বলেন,এই খাবার যখন দেখি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। অনেক আসামির চোখে পানি খাবারের উপর পরে আর এই বিষয়ে,যদি কেউ কিছু বলতে যায় আর জেলারের যদি বুঝতে পারে সাথে সাথে কেসটেবিল নামে একটি জায়গায় আছে,যেখানে নিয়ে যাবে আর সেই খানে আসামিদের কে মারধর করা হয়।
তাদের কে,কি ভাবে মা-রা হয় জানেন,দুই হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে চোখ বেধে বেদর ভাবে মারা হয়। তার পরে পাশের একটি সেলে রাখা হয়।
দ্বিতীয়ত বিষয়ঃ-কারাগারে ভিতরে আসামি দের সাথে পনেরো দিন পর পর সাক্ষাত করার নিয়ম থাকলেও দুই শত টাকায় স্লিপ কাটলে আইন ভঙ্গ করে,দেখা করার সুযোগ করে দেই জেলার আর যদি সেই স্লিপ না কাটা হয়। সেই দিন আর প্রিয় জনের দেখা মেলে না।
তৃতীয় বিষয়ঃ-সপ্তাহে একদিন পরিবারের সঙ্গে কারাগারে ভিতর থেকে টেলিফোনে ফ্রিতে পাঁচ মিনিট কথা বলার ব্যবস্থা থাকলেও আইনে তোয়াক্কা না করে,কুখ্যাত জেলার আবু ফাতাহা, সকাল নয় টা থেকে শুরু করে বিকাল পাঁচ টা পযন্ত প্রতি তিন মিনিট করে ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দিলেও সকল আসামিকে বিনিময়ে জেলার কে দিতে হবে একশত করে টাকা।
চতুর্থ বিষয়ঃ-কারাগারের ভিতরে একটি ক্যান্টিন রয়েছে,সেখানে পান সিগারেট বিস্কিট জুস থেকে শুরু করে ইত্যাদি সব কিছুই পাওয়া যায়।
এখন ওই ক্যান্টিন থেকে একজন নিরীহ আসামি যদি এক পেকেট বিস্কিট কিনতে যায়। যাহার বাজার মূল্য বিশ টাকা, নির্ধারণ করা থাকলেও তাহার পি,ছি,কার্ড, থেকে কেটে রাখা হয় চল্লিশ টাকা। পাশাপাশি ওই ক্যান্টিনে সকাল বেলার নাস্তাপাওয়া যায়। নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও দ্বিগুণ বেশি আর ওই ক্যান্টিনে খিচুড়ি থেকে শুরু করে,সিঙ্গারা পুড়ি থেকে শুরু করে, দুপুরের রান্না তরকারিও বিক্রি হয়। এখানে আধা কেজি ফার্মের মুরগির মাংস কিনতে হলে আপনাকে গুনতে হবে ছয় শত টাকা এবং ডিম থেকে শুরু করে মাছের তরকারি এবং ভর তাও পাওয়া যায়। শুধু টাকার পরিমাণটাই দিতে হবে দ্বিগুণ এখন যার টাকা নেই নিরীহ আসামি সে,কি করবে...?
পঞ্চম বিষয়ঃ-কারাগারে ভিতরে প্রথম যখন কাউকে নিয়ে যাওয়া হয়।ওই দিন এবং রাত,ওই আসামি কে,রাখা হবে আমদানি নামের এক ওয়ার্ডে ওই রাতে কুখ্যাত জেলারের সাজা প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কয়েকজন আসামিকে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন আমদানির তার মধ্যে একজনকে বানায় ঐ কয়েকজনের প্রধান যাকে বলা হয়।
আমদানি ম্যাট,তার নাম,(লুৎফর) তার বাড়ি হচ্ছে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানায়। সেই রাতে খাবার পর এসে সবাইকে বলবে,আপনারা কি ভালো কোনো জায়গায় ঘুমাইতে চান এবং থাকতে চান,তখন কি আর আসামী বলে আমি বাথরুমের পাশে ঘুমাই,নিশ্চয়ই সে ভালো কোনো জায়গাটাতে থাকার চেষ্টা করবে এবং বলবে,তখন আমদানির ম্যাট লুৎফর বলে,জেলখানার মধ্যে ভালো একটা সিট নিয়ে ঘুমাতে পারবেন তা হলে আপনাকে যেতে হবে মেডিকেলে আর মেডিকেলে থাকতে হলে আপনাকে টাকা দিতে হবে (দশ)হাজার আর যদি আমদানিতে থাকতে চান টাকা লাগবে,(পাঁচ) হাজার আর অন্য ওয়ার্ডে যেমন (১,২,৩,৪,৫,৬) ওয়ার্ডে থাকতে চাইলে টাকা লাগবে(তিন) হাজার করে,ওই সময় যদি কোন আসামি বলে কাছে কোনো টাকা নেই,
আমি কোনো টাকা দিতে পারবোনা। তখন তাকে রাখা হবে বাথরুমের পাশে। পরের দিন ফ্যামিলির সাথে কথা বলে এবং চাপের মুখে ফেলে টাকা নিয়ে আসতে বাধ্য হয়। একজন নিরীহ আসামি আর জেলখানার ভিতরে থেকে সিট বিক্রি থেকে শুরু করে যত অপকর্মের টাকা,এই লুৎফরের মাধ্যমেই জেলারের পকেটে যায়। আরেকটি বিষয় না বলে নয়, আওয়ামী লীগ বলেন, বিএনপি বলেন এবং জামাত ইসলাম বলেন,সবাইকে কুখ্যাত জেলারের কাছে থেকে ছিট কিনে,জেলখানায় থেকে আসতে হয়েছে। এই হচ্ছে কুখ্যাত ও দূরনিতিবাজ জেলার আবু ফাতাহা।
ষষ্ঠ বিষয়ঃ-জেল গেট থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার সময়,জামালপুর জেলা বকশীগঞ্জ থানার বাঁটটা জোড়া গ্রামের কওমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জামায়েত নেতা বলেন,সংবাদকর্মীকে,দেখেন ভাই আমার জামিন হয়ে গেছে,এখন জেলার সাহেব আমার কাছে লোক পাঠিয়েছে,আজকে জেলখানা থেকে বের হতে হলে জেলার সাহেব কে (বিশ) হাজার টাকা দিতে হবে। নয়তো আমাকে এক থেকে দুই দিন রেখে দিবে
এখন তার পরিবার প্রিন্সিপালকে নিয়ে যাবে,জেলখানা অপেক্ষা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই,কারা কর্তৃপক্ষ বলে,কোর্ট থেকে এখনো কাগজ আসেনি অথবা যে কোন একটা সমস্যা দাঁড় করাবে,তারপর পরিবারকে সান্তনা দিয়ে পাঠিয়ে দিবে এবং বলবে,আপনাদের আসামি জামিন হয়েছে আজকে না গেলে কালকে যাবে চিন্তা করার কিছু নেই ,এখন প্রিন্সিপাল জেলখানার ভেতর থেকে গেলো ঐদিন।
বাইরের কাউকে কিছু বলতেও পাচ্ছে না। পরের দিন ম্যাটকে দিয়ে জেলারকে বুঝিয়ে (দশ) হাজার টাকায় রাজি করান এবং জামিন হওয়ার পরের দিন বাড়িতে যেতে হয় কওমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কে,শুধু কওমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নয়। অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন পাওয়ার পর জেলারকে টাকা দিয়ে জেল গেট পার হতে হয়েছে।কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ আবু ফাতেহার কাছ থেকে কেউ রেহাই পায়নি।
এই বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস থেকে শুরু করে সকল দপ্তরের প্রধান কে সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এই নিউজটা করতে গিয়ে একজন সংবাদকর্মীর কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম।
মতামত দিন