জাতীয়

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. শাহদীন মালিক

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সংস্কারে ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে দেশের সংবিধান সংস্কারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ড. শাহদীন মালিকে।দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে আনুষ্ঠানিকভাবে ১ অক্টোবর কাজ শুরু করবেন তিনি। দ্রত সময়ের মধ্যে তাকে কাজ শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শসভার আয়োজন করবে বলে জানা গেছে। এরপর চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।

ড. শাহদীন মালিকের পাশাপাশি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনে সরফ রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর ওপর।কে এই ড. শাহদীন মালিকশাহদীন মালিক বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত বিশ্বনাথ উপজেলার শোরুয়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মালিকের বাবা আব্দুল মালিক চৌধুরী বন বিভাগের প্রধান সংরক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন ।  ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া ল স্কুলে আইন বিষয়ে আরেকটি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবনে শাহদীন মালিক ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় জনস্বার্থ মামলা- রাইটস ইন সার্চ অফ রেমেডিস লিখেছিলেন।ড. শাহদীন মালিক ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তার অনুশীলন শুরু করেন। তিনি  ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের একজন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, শাহদীন মালিক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে সম্মানসূচক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাবিত তালিকায় তার নাম ছিলো। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন।

মতামত দিন