জামালপুর এম এ রশিদ হাসপাতাল ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা
জামালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহরের সরদারপাড়া এলাকায় ইউনাইটেড ট্রাস্টের বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে। এসময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করা হয়। এতে চারজন আহত হয়।
এমসময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্র দেখিয়ে সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে ও হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।পরে হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে দুর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়। এসময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে তারা।পরে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এম এ রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, দুর্বৃত্তরা কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছে। এখান থেকে যাওয়ার সময় তারা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করে। বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আজকের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জামালপুরবাসী।তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামাধারী হয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কারণ নেই, এছাড়া তারা যদি বিএনপির কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক জানান, এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।
মতামত দিন