রাজনীতি

যাদের নির্বাচনে ভয়, তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যাদের নির্বাচনে ভয়, তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘রোডম্যাপ দিতে এতো ভয় কেন? নির্বাচনে এতো ভয় কেন?’মঙ্গলবার (২৭ মে) তিনি বলেন, তারা শেখ হাসিনার পথে চলছে। তারা নির্বাচন দিলে বাংলাদেশে নির্বাচিত হবে না, তা তো পরিস্কার। নির্বাচনের সঙ্গে বিচার, সংস্কার সাংঘর্ষিক নয়। সবগুলো চলমান প্রক্রিয়া। ৫ থেকে ১০ জন মানুষ জনগণকে বাইরে দেশের ভালো বুঝবে, এ তো শেখ হাসিনার মত কথা হলো।আমীর খসরু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে গণঅভ্যুত্থানের যে শক্তিগুলো ছিল—প্রথমত ছাত্র-জনতার সবার সমর্থন, দ্বিতীয়ত দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এবং তৃতীয়ত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী। শেখ হাসিনার পতনের পেছনেও এই তিনটি শক্তি কাজ করেছে—ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সমর্থন এবং সেনাবাহিনী এটিকে সহায়তা করেছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অনির্বাচিত সরকার যদি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকে, তবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গণমাধ্যমের ওপর চাপ বাড়বে। নাগরিক প্রতিবাদ করতে রাস্তায় আসতে পারবে না, এটা কোনো কথা হতে পারে না। অনির্বাচিত সরকারের স্বৈরাচারি হয়ে ওঠার লক্ষণ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। কেউ বাংলাদেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতি চায় না, মবোক্রেসি চায় না।তিনি আরও বলেন, জোর করে চাপিয়ে দিয়ে দাবি আদায় হবে না, সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিবে বলে প্রত্যাশা। রাজনীতিবিদদের অনুধাবন করতে হবে, আগামীর রাজনীতি আগের মত হবে না। মানুষ যা আকাঙ্ক্ষা করছে, তা না পূরণ করতে পারলে রাজনৈতিক দলগুলোও থাকবে না।

১ হাজারটা সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না, যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হয়। তাই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে, এবং এটা অব্যাহত রাখতে হবে বলে আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মতামত দিন