ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে
নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্তে স্বচ্ছতা ও আস্থার ওপর জোর দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ ৬ আগস্ট বুধবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।সিইসি বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যেসব নাগরিক নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ১৮ বছর বয়সে পৌঁছাবেন, তাদেরও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের যাবতীয় কেনাকাটা সম্পন্ন হবে, আর নির্বাচনের আগে মিডিয়াসহ সকল অংশীজনের সাথে আলোচনায় বসবে কমিশন।তিনি বলেছেন, আমরা নির্বাচনকে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ করতে চাই। আয়নার মতো পরিষ্কার করতে চাই। বিশ্ববাসী দেখুক, আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি আছে কি না। আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করতে চাই না। এআই ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানো বা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা থেকে কমিশন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।সিইসি জানান, নির্বাচন ঘিরে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ ভোটার পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন, যাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সবাইকে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগে ভোটের সময় চাপ থাকতো দলের; এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ আস্থা ফেরানো এবং ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ। তবে দলটির সমর্থকরা ভোট দিতে পারবেন, এমন ইঙ্গিত দেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে পারবেন কিনা-এই বিষয়ে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি।
মতামত দিন