নেটিজেনদের প্রশংসা বৃষ্টিতে ভাসছেন তারেক রহমান
গত ৭ আগস্ট কার্টুনিস্ট মেহেদী হক একটি কার্টুন এঁকে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেটা ছিল জাপানিজ হরর ফিল্ম ‘দ্য রিং’-এর একটি আইকনিক দৃশ্য অবলম্বনে। রিং সিনেমায় দেখা যায়, এক অশরীরী বা প্রেতাত্মা টেলিভিশন সেট থেকে বের হয়ে বাস্তবিক পৃথিবীতে নেমে আসছে আর মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। ২৩ বছরের বেশি সময় ধরে কার্টুন আঁকা মেহেদী সেই অশরীরীর জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বসিয়ে ব্যঙ্গচিত্রটি আঁকেন। কার্টুনিস্ট হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন– বহু বছর দেশের বাইরে থাকা তারেক এবার হয়তো ‘ফাঁকা মাঠ’ পেয়ে দেশে আসবেন এবং ভূত হয়ে অনেকের ওপর প্রতিশোধ নিতে পারেন।
কিন্তু তারেক রহমান কোনো প্রকার বিরক্তি বা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ না দেখিয়ে যেন কার্টুনের হিউমার বা উইটিতে মজে যান। এ নিয়ে রোববার (১১ আগস্ট) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা নিয়ে আশাবাদী মন্তব্যও করেন।
কার্টুনের ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে তারেক রহমান লিখেছেন, আমি গভীরভাবে আনন্দিত যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট বিশেষ করে শিশির ভট্টাচার্য প্রায়ই আমার মা (খালেদা জিয়া) ও আমাকে নিয়ে কার্টুন তৈরি করতেন।তারেক রহমান লেখেন, গত ১৫ বছরে আমরা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে দেখেছি। তার কাজের জন্য তাকে অকল্পনীয় নির্যাতন ও কারাবরণ করতে হয়েছে। এছাড়া, আরও অনেকে একই ধরনের নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন। শিশির ভট্টাচার্য অবশেষে কার্টুন তৈরি করা বন্ধও করে দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও লেখেন, আমি কার্টুনিস্ট মেহেদীর ভক্ত। শিশির ভট্টাচার্যের কাজও দারুণ উপভোগ করতাম। আন্তরিকভাবে আশা করি– তিনি (শিশির) শিগগিরই নিয়মিত রাজনৈতিক কার্টুন তৈরি শুরু করবেন।
তার এই সহনশীল মানসিকতার জন্য নেটিজেনদের প্রশংসা বৃষ্টিতে ভাসছেন তারেক। ফাতেহা নুর নামে একজন লিখেছেন, এটা (তারেক রহমানকে নিয়ে আঁকা কার্টুন) গ্রহণ করার জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ। এটাই বাকস্বাধীনতা, এটাই গ্রহণের স্বাধীনতা!
রাকিব হোসেন নামে আরেকজন লিখেছেন, বিএনপি বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর কোনো ‘ফুডপান্ডা’ চাই না। বিএনপির জন্য রইলো শুভকামনা।
মতামত দিন